ভাল বীজ চেনার পদ্ধতি, বীজ শোধন উপায় এবং বীজতলা তৈরী সম্পর্কে কৃষক ভাইদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 কৃষক ভাইদের জন্য ভাল বীজ চেনার পদ্ধতি, বীজ শোধন উপায় এবং বীজতলা তৈরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বীজ শোধনের মাধ্যমে চাইলে বীজ থেকে রোগবালাই দূর করে নেয়া যেতে পারে। রোগমুক্ত বীজ দেয় অধিক ফলনের নিশ্চয়তা। তাই বীজবাহিত রোগ মুক্ত করার জন্য বীজ শোধন করা খুবই জরুরী।


ভাল বীজ চেনার উপায়:

ভালো বীজ চেনার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। প্রথমে, বীজের আকার, আকৃতি, এবং রং স্বাভাবিক ও একই রকম হওয়া উচিত। এছাড়াও, বীজ পরিষ্কার, রোগমুক্ত এবং সতেজ হওয়া প্রয়োজন। বীজের সাথে অন্য ফসলের বীজ বা আগাছার বীজ মেশানো থাকা উচিত নয়। 

ভালো বীজ চেনার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হল:

বীজের আকার ও আকৃতি:

ভালো বীজের আকার ও আকৃতি একই রকম হবে এবং কোনো অস্বাভাবিকতা থাকবে না। 

বীজের রং:

বীজের রং স্বাভাবিক এবং উজ্জ্বল হবে। 

বীজের পরিপক্কতা:

বীজ পরিপক্ক ও পুষ্ট হওয়া উচিত। 

বীজের বিশুদ্ধতা:

বীজের সাথে অন্য ফসলের বীজ বা আগাছার বীজ মেশানো থাকা উচিত নয়। 

বীজের সতেজতা:

বীজ সতেজ এবং রোগমুক্ত হওয়া উচিত। 

বীজের আর্দ্রতা:

বীজে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকা উচিত নয়। 

আরও: মসলা ফসল চাষ পদ্ধতি


বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা:

ভালো মানের বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বেশি থাকে, অর্থাৎ, বীজ বপনের পর দ্রুত চারা গজায়। 

বীজের প্যাকেজিং:

বীজ কেনার সময় প্যাকেজিং দেখে নিন। প্যাকেটের গায়ে বীজের নাম, জাত, উৎপাদনকারীর নাম, অঙ্কুরোদগম হার, ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ থাকতে হবে। 

জল পরীক্ষা:

একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে বীজ ছেড়ে দিন। ভালো বীজগুলি ডুবে যাবে এবং খারাপ বীজগুলি ভেসে উঠবে। 

উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করে ভালো বীজ নির্বাচন করা যেতে পারে।


আরও: ধানের জাত পরিচিতি ও নলেজ ব্যাংক


বপনের আগে বীজ শোধন করা:

বীজ শোধন হল রোপণের আগে বীজে রাসায়নিক বা জৈবিক পদার্থ প্রয়োগ করা যা তাদের সবচেয়ে দুর্বল প্রারম্ভিক বৃদ্ধির পর্যায়ে রক্ষা করে। এই প্রক্রিয়া একাধিক উদ্দেশ্য সাধন করে: রোগ, কীটপতঙ্গ এবং পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি শক্তিশালী অঙ্কুরোদ্গম এবং চারা বিকাশকে উৎসাহিত করে।

বীজ ড্রেসিং :

এটি বীজ শোধনের সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। বীজ শুষ্ক ফর্মুলেশন দিয়ে অথবা ভেজা ফর্মুলেশন দিয়ে স্লারি বা তরল ফর্মুলেশন দিয়ে শোধন করা হয়।

বীজ শোধন 

বীজ শোধন হচ্ছে বীজের বাইরে অথবা বীজের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র জীবকনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জৈবিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া। বীজ শোধন করা হলে অতি ক্ষুদ্র জীবানুর হাত থেকে বীজ ও চারা গাছকে রক্ষা করে। বীজ শোধন করে ফসল লাগানোর ফলে গাছের সার্বিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, ফসলের উৎপাদন বাড়ে।

অন্যভাবে, বীজ শোধন বলতে বোঝায়, রোপণের পূর্বে বীজকে রোগ, পোকা এবং পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক বা জৈবিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা। এর মাধ্যমে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। 

আরও: আপদের লক্ষণ ও প্রতিকার ব্যবস্থাপনা


বীজ শোধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

বীজবাহিত রোগ প্রতিরোধ:

বীজ শোধন করে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করা যায়, যা পরবর্তীতে রোগাক্রান্ত হওয়া থেকে ফসলকে রক্ষা করে। 

অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি:

বীজ শোধন করলে বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙ্গে এবং অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে, ফলে ভালো চারাগাছ পাওয়া যায়। 

পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা:

বীজ শোধনের মাধ্যমে ফসলের প্রাথমিক অবস্থায় পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। 

পরিবেশগত চাপ মোকাবেলা:

বীজ শোধন করে বীজকে শুষ্কতা, অতিরিক্ত তাপমাত্রার মতো পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করা যায়। 

ভালো ফলন নিশ্চিত করা:

রোগমুক্ত এবং সুস্থ বীজ থেকে উৎপাদিত ফসল অধিক ফলনশীল হয়। 

আরও: মাঠ ফসল চাষ পদ্ধতি


বিভিন্ন পদ্ধতিতে বীজ শোধন করা যায়। নিম্নে বীজ শোধনের বিভিন্ন পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:


রাসায়নিক শোধন:

কার্বেন্ডাজিম, থিরাম ইত্যাদি ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়। 

জৈবিক শোধন:

ট্রাইকোডার্মা নামক উপকারী ছত্রাক ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়, যা ক্ষতিকর ছত্রাক ধ্বংস করে। 

গরম পানি দিয়ে শোধন:

৫২-৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানিতে ১৫ মিনিটের জন্য বীজ ডুবিয়ে রাখলে শোধন করা যায়। 

লবণ পানি দিয়ে শোধন:

একটি নির্দিষ্ট ঘনত্বের লবণ দ্রবণে বীজ ডুবিয়ে রাখলে স্বাস্থ্যকর বীজ নিচে থাকে এবং রোগাক্রান্ত বা দুর্বল বীজ উপরে ভেসে ওঠে। 

বীজ শোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা ভালো ফলন পেতে এবং ফসলের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। 

আরও: বালাইনাশক সেবা


বীজ শোধন সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য

১। বীজকে ৫২-৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস(হাতে সহনীয়) তাপমাত্রায় ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে বীজ শোধন হয়ে যায়।

২। কারবেনডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক দিয়েও বীজ শোধন করা যায়। ৩ গ্রাম ছত্রাকনাশক ১লিটার পানিতে মিশিয়ে সেখানে ১কেজি ধান দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে কয়েকঘন্টা রেখে দিলেই বীজ শোধন হয়ে যাবে।


বীজ শোধনের মাধ্যমে চাইলে বীজ থেকে রোগবালাই দূর করে নেয়া যেতে পারে। রোগমুক্ত বীজ দেয় অধিক ফলনের নিশ্চয়তা। তাই বীজবাহিত রোগ মুক্ত করার জন্য বীজ শোধন করা খুবই জরুরী।


বীজ শোধনের জন্য বিভিন্ন ছত্রাকনাশক এবং রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। কিছু জনপ্রিয় ঔষধের নাম হলো কার্বেনডাজিম, পাইরোকুইলন, ট্রাইসাইক্লোজল, ভিটাভেক্স-২০০, প্রোভেক্স-২০০, এবং এসিফ্লো ৪০ এস এফ।. 

  আরও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য যা বীজ শোধনে ব্যবহৃত হয়। যেমন-  থাইরাম, ক্যাপটান, ম্যানকোজেব, এমকোজিম, বরিক এসিড, ব্যাভিস্টিন (কার্বেন্ডাজিম)।

বীজ শোধন করার জন্য, সাধারণত ১ কেজি বীজের জন্য ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম বা পাইরোকুইলন বা ট্রাইসাইক্লোজল ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে বীজ ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে, এরপর অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। অথবা, ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন পাউডার (কার্বেন্ডাজিম) পরিমাণ মত ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে আলুর বীজ শোধন করা যায়। এছাড়া, ১ লিটার পানিতে ৩০ গ্রাম বরিক এসিড মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য বীজ ডুবিয়ে রেখে পরে ছায়ায় শুকাতে পারেন। 

বীজ শোধনের জন্য, বাজারে উপলব্ধ ছত্রাকনাশক যেমন ভিটাভেক্স-২০০ বা প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) ব্যবহার করা যেতে পারে। পাটের বীজ, গমের বীজ শোধনের জন্য, বপনের আগে বীজ ভালোভাবে রোদে শুকাতে পারেন। 

এই পদ্ধতিগুলি বীজকে রোগমুক্ত রাখতে এবং ভালো ফলন পেতে সহায়তা করে। 

        বীজ শোধনের জন্য যে কোন কৃষক বাজার থেকে বীজ শোধক প্রোভেক্স , ভিটাভেক্স, ভিটাফো-২০০ এফ এফ, হাদাক ইত্যাদি পাউডার কিনে প্রতি ১০ কেজি আলু বীজের জন্য ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম পাউডার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আলু বীজ ৫ থেকে ১০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।

আরও: ফসল চাষ


বীজতলা ও এর পরিচর্যা

বীজতলা কী?

বীজতলা হল এমন একটি স্থান যেখানে চারাগাছ উৎপাদনের জন্য বীজ বপন করা হয়, যা পরে মূল জমিতে রোপণ করা হয়। এটি সাধারণত সবজি বা অন্যান্য ফসলের চারা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়, যা সরাসরি মূল জমিতে বপন করা যায় না।

উদাহরণস্বরূপ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচ ইত্যাদি ফসলের চারা বীজতলায় তৈরি করা হয়, তারপর মূল জমিতে রোপণ করা হয়। 

একটি আদর্শ বীজতলা সাধারণত ৩ ফুট চওড়া এবং ১০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। 

বীজতলা তৈরির জন্য, প্রথমে জমিকে ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে আলগা ও আগাছামুক্ত করতে হবে। এরপর, বালি, মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। বীজ বপনের পর, চারা গজানোর জন্য নিয়মিত পানি দিতে হবে এবং প্রয়োজনে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বীজতলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে মাটির বুনট নষ্ট হতে পারে এবং উপকারী জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, 

বীজতলা হল:

জমির একটি অংশ যেখানে বীজ বপন করে চারা তৈরি করা হয়। চারাগাছ রোপণের আগে তাদের বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। কিছু ফসলের জন্য, যেমন- ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি, চারা তৈরি করা প্রয়োজন হয়। বীজতলার মাধ্যমে চারার যত্ন নেয়া সহজ হয় এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। 

বিভিন্ন ধরনের বীজতলার পদ্ধতি রয়েছে, বীজতলা সাধারণত চার প্রকার:  যেমন- শুকনা বীজতলা, ভেজা বীজতলা, দাপোগ বীজতলা এবং ভাসমান বীজতলা। 

১. শুকনো বীজতলা:

এটি শুষ্ক ও উঁচু জমিতে তৈরি করা হয়, যেখানে বীজ ছিটিয়ে বা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হয় এবং পরে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দেওয়া হয়।

২. ভেজা বা কাদা বীজতলা:

এটি ধান চাষের জন্য উপযুক্ত, যেখানে মাটি কাদা করে বীজ বপন করা হয় এবং চারা রোপণের আগ পর্যন্ত জল ধরে রাখা হয়।

৪.  ধাপ বা উঁচু বীজতলা:

এটি বন্যাপ্রবণ বা জলাবদ্ধ এলাকার জন্য উপযুক্ত, যেখানে উঁচু বেড তৈরি করে তার উপর বীজ বপন করা হয়।

৫.  ভাসমান বীজতলা:

এটি বন্যা বা বৃষ্টির কারণে বীজতলা ডুবে গেলে তৈরি করা হয়, যেখানে বীজ ভর্তি পাত্র বা বেড পানির উপর ভাসিয়ে রাখা হয়।

আরও: আখ ফসলের জাত ও বৈশিষ্ঠ্য


বীজতলা তৈরির বিস্তারিত প্রক্রিয়া ও যত্ন

বীজতলা প্রস্তুতি?

বীজতলা তৈরি করতে , তাড়াতে, অথবা পুড়িয়ে দিতে হবে, যাতে মাটির প্রায় ৫০ শতাংশ অংশ দেখা যায় । সমস্ত মৃত গাছপালা অপসারণের প্রয়োজন নেই। মাটির পৃষ্ঠকে রেক, থ্যাচার বা সাবধানে নিয়ন্ত্রিত টিলার দিয়ে এক ইঞ্চি গভীরে স্কেরি (আলগা বা নাড়া) করুন।

বীজতলা তৈরির জন্য প্রথমে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে, যা রোদযুক্ত এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ভালো হবে। এরপর মাটি ভালোভাবে কুপিয়ে, আগাছা পরিষ্কার করে, সার মিশিয়ে বীজতলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বীজ বপনের আগে, বীজগুলোকে ভালোভাবে বাছাই করে নিতে হবে, এবং অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশে রাখতে হবে। 


বীজতলা প্রস্তত প্রক্রিয়া

১. স্থান নির্বাচন: 

বীজতলার জন্য এমন একটি স্থান নির্বাচন করুন যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ আসে এবং পানি জমে না থাকে। মাটির ধরন দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ হলে ভালো হয়, যা পানি ধরে রাখতে পারে এবং সহজে নিষ্কাশনও করতে পারে।

২. মাটি প্রস্তুতকরণ: 

নির্বাচিত স্থানটিকে ভালোভাবে কুপিয়ে, আগাছা পরিষ্কার করে, মাটি আলগা করে নিতে হবে। প্রয়োজনে জৈব সার (যেমন- পচা গোবর, কম্পোস্ট) অথবা রাসায়নিক সার (যেমন- টিএসপি, এমওপি) ব্যবহার করতে পারেন। মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হবে, যাতে বীজ সহজে গজাতে পারে।

৩. বীজ বপন: 

বীজ বপনের আগে, বীজগুলোকে ভালোভাবে বাছাই করে নিতে হবে। কিছু সবজির বীজ সরাসরি মূল জমিতে বপন করা গেলেও, কিছু সবজির চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। ছিটিয়ে বা সারিতে বীজ বপন করা যেতে পারে, তবে খেয়াল রাখতে হবে বীজ যেন বেশি গভীরে না চলে যায়।

৪. অঙ্কুরোদগম: 

বীজ বপনের পর, বীজতলাটিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানি জমে না থাকে। অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। বীজ গজানোর পর, চারার যত্ন নিতে হবে, যেমন- রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।

৫. বীজতলার যত্ন: 

নিয়মিত পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা এবং প্রয়োজনে সার দেওয়া প্রয়োজন। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে চারাগাছকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। চারা যখন রোপণের উপযুক্ত হবে, তখন মূল জমিতে রোপণ করতে হবে। বীজতলা তৈরির জন্য এই বিষয়গুলো মনে রাখলে ভালো চারা উৎপাদন করা সম্ভব।

রোদযুক্ত উঁচু জায়গায় পরিস্কার করে ভালভাবে মাটি চাষ দিয়ে সমতল করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। প্রতি ১০ গ্রাম বীজের জন্য ৪ ফুট চওড়া ও ২০ ফুট লম্বা নার্সারী বেড দরকার। ছিটিয়ে বপনের জন্য সাধারণত: প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ১০০-১৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন।

আরও: ছাদ বাগান পরিচর্যা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)