জমি বর্গা দেওয়া বা নেওয়া সমন্ধে সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) থেকে কিছু সহীহ হাদিস

 জমি বর্গা দেওয়া বা নেওয়া সমন্ধে সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) থেকে  কিছু সহীহ হাদিস

উৎসঃ গ্রন্থ- সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) 

কৃষক সেবা


অধ্যায়ঃ ৩৭/ ইজারা (كتاب الإجارة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

৩৭/২২. যদি কোন ব্যক্তি ভূমি ইজারা নেয় এবং তাদের দু’জনের কেউ মৃত্যুবরণ করে।

হাদিস নং - ২২৮৬. 

রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) রিওয়ায়েত করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শস্য ক্ষেত বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। উবায়দুল্লাহ (রহ.) নাফি‘-এর বরাত দিয়ে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে (এটুকু অতিরিক্ত) বর্ণনা করেছেন যে, ‘উমার (রাঃ) কর্তৃক ইয়াহূদীদেরকে বিতাড়ণ করা পর্যন্ত (খায়বারের জমি তাদের নিকট ইজারাহ দেয়া হত)। (২৩৩২, ২৩৪৪, ২৭২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ২১৪১ শেষাংশ)


অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/৮. অর্ধেক বা এর অনুরূপ পরিমাণ ফসলের শর্তে ভাগে চাষাবাদ করা।

এবং কাইস ইবনু মুসলিম (রহ.) আবূ জা’ফর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মদ্বীনাতে মুহাজিরদের এমন কোন পরিবার ছিল না, যারা এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ ফসলের শর্তে ভাগে চাষ করতেন না। ’আলী, সা’দ ইবনু মালিক, ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয, কাসিম, ’উরওয়াহ (রহ.) এবং আবূ বকর, ’উমার ও ’আলী (রাঃ)-এর বংশধর এবং ইবনু সীরীন (রহ.)-ও ভাগে চাষ করেছেন। ’আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ (রাঃ) বলেন, আমি ’আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদের ক্ষেতে শরীক ছিলাম। ’উমার (রাঃ) লোকেদের সাথে এ শর্তে জমি
 বর্গা দিয়েছেন যে, ’উমার (রাঃ) বীজ দিলে তিনি ফসলের অর্ধেক পাবেন। আর যদি তারা বীজ দেয় তবে তাদের জন্য এই পরিমাণ হবে। হাসান (রহ.) বলেন, যদি ক্ষেত তাদের মধ্যে কোন একজনের হয়, আর দু’জনেই তাতে খরচ করে, তা হলে উৎপন্ন ফসল সমান হারে ভাগ করে নেয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। যুহরী (রহ.)-ও এ মত পোষণ করেন। হাসান (রহ.) বলেন, আধা-আধি শর্তে তুলা চাষ করতে কোন দোষ নেই। ইবরাহীম, ইবনু সীরীন, ’আতা, হাকাম, যুহরী ও কাতাদাহ (রহ.) বলেন, তাঁতীকে এক-তৃতীয়াংশ বা এক চতুর্থাংশের শর্তে কাপড় বুনতে দেয়ায় কোন দোষ নেই। মা’মার (রহ.) বলেন, (উপার্জিত অর্থের) এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশের শর্তে সময় নির্দিষ্ট করে গবাদি পশু ভাড়া দেয়াতে কোন দোষ নেই।

হাদিস নং - ২৩২৮. 

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারবাসীদেরকে উৎপাদিত ফল বা ফসলের অর্ধেক ভাগের শর্তে জমি বর্গা দিয়েছিলেন। তিনি নিজের সহধর্মিণীদেরকে একশ’ ওসক দিতেন, এর মধ্যে ৮০ ওসক খুরমা ও ২০ ওসক যব। ’উমার (রাঃ) (তাঁর খিলাফতকালে খায়বারের) জমি বণ্টন করেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দিলেন যে, তাঁরা জমি ও পানি নিবেন, না কি তাদের জন্য ওটাই চালু থাকবে, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যামানায় ছিল। তখন তাদের কেউ জমি নিলেন আর কেউ ওসক নিতে রাজী হলেন। ’আয়িশাহ (রাযি.) জমিই নিয়েছিলেন। (২২৮৫, মুসলিম ২২/১, হাঃ ১৫৫১, আহমাদ ৪৭৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭৭)


আরও: মহান আল্লাহুর নিকট বংশধরদের জন্য রিযকের অনুগহ চেয়ে হযরত ইবরাহীম (আ)- এর প্রার্থনা

অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/৯. ভাগচাষে যদি বছর নির্ধারণ না করে।

হাদিস নং - ২৩২৯. 

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎপাদিত ফল কিংবা ফসলের অর্ধেক শর্তে খায়বারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন। (২২৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ২১৭৮)


অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة)

৪১/১০. পরিচ্ছেদ নাই।

হাদিস নং - ২৩৩০. 

‘আমর (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউস (রহ.)-কে বললাম, আপনি যদি বর্গাচাষ ছেড়ে দিতেন, (তাহলে খুব ভাল হত) কেননা, লোকেদের ধারণা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেছেন। তাউস (রহ.) বললেন, হে ‘আমর! আমি তো তাদেরকে বর্গাচাষ করতেই দিই এবং তাদের সাহায্য করি এবং তাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী অর্থাৎ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্গাচাষ নিষেধ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, তোমাদের কেউ তার ভাইকে জমি দান করুক, এটা তার জন্য তার ভাইয়ের কাছ হতে নির্দিষ্ট উপার্জন গ্রহণ করার চেয়ে উত্তম। (২৩৪২, ২৬৩৪, মুসলিম ২১/২১, হাঃ ১৫৫০, আহমাদ ২৫৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭৯)


অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/১১. ইয়াহূদীদের সাথে জমি ভাগে চাষ করা।

হাদিস নং - ২৩৩১. 

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের জমি ইয়াহূদীদেরকে এ শর্তে বর্গা দিয়েছিলেন যে, তারা তাতে পরিশ্রম করে কৃষি কাজ করবে এবং উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক তারা পাবে। (২২৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ২১৮০)

অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/১৮. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহয়তা করতেন তার বিবরণ।

হাদিস নং - ২৩৪০. 

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা এক-তৃতীয়াংশ, এক-চতুর্থাংশ ও অর্ধেক ফসলের শর্তে বর্গা চাষ করত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তির নিকট জমি রয়েছে, সে যেন নিজে চাষ করে অথবা তা কাউকে দিয়ে দেয়। যদি তা না করে তবে সে যেন তার জমি ফেলে রাখে। (২৬৩২, মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৩৬, আহমাদ ১৪২৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৮৯)

অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة)
৪১/১৮. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহয়তা করতেন তার বিবরণ।

হাদিস নং - ২৩৪২. 

‘আমর (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (বর্গাচাষ সম্পর্কিত) এ হাদীসটি তাউস (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, (অন্যকে দিয়ে) চাষাবাদ করানো যেতে পারে। (কেননা) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা (বর্গাচাষ) নিষেধ করেননি। তবে তিনি বলেছেন যে, তোমাদের নিজের ভাইকে জমি দান করে দেয়া উত্তম, তার কাছ হতে নির্দিষ্ট কিছু গ্রহণ করার চেয়ে। (২৩৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৯০)

অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/১৮. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহয়তা করতেন তার বিবরণ।

হাদিস নং - ২৩৪৩. 

নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে এবং আবূ বকর, ‘উমার, উসমান (রাঃ) মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর শাসনের শুরু ভাগে নিজের ক্ষেতে বর্গাচাষ করতে দিতেন। (২৩৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৯১)

অধ্যায়ঃ ৪১/ চাষাবাদ (كتاب المزارعة) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪১/১৮. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহয়তা করতেন তার বিবরণ।

হাদিস নং - ২৩৪৫. 

সালিম (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি জানতাম যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যামানায় ক্ষেত বর্গাচাষ করতে দেয়া হত। তারপর ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর ভয় হল, হয়ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পর্কে এমন কিছু নতুন নির্দেশ দিয়েছেন, যা তাঁর জানা নেই। তাই তিনি ভাগে জমি ইজারা দেয়া ত্যাগ করলেন। (২৩৪৩, মুসলিম ২১/১৭, হাঃ ১৫৪৭, আহমাদ ১৫৮১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৯২)

অধ্যায়ঃ ৫৪/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫৪/৫.
 বর্গাচাষ ইত্যাদির বিষয়ে শর্তাবলী।

হাদিস নং - ২৭১৯. 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারগণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বললেন, ‘আমাদের ও আমাদের (মুহাজির) ভাইদের মধ্যে খেজুর গাছ বণ্টন করে দিন।’ তিনি বললেন, না। তখন তাঁরা বললেন, ‘তোমরা আমাদের শ্রমে সাহায্য করবে আর তোমাদের আমরা ফলের অংশ দিব।’ তারা [মুহাজিরগণ (রাঃ)] বললেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম।’ (২৩২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩৩)


অধ্যায়ঃ ৫৪/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫৪/৫.
 বর্গাচাষ ইত্যাদির বিষয়ে শর্তাবলী।

হাদিস নং - ২৭২০. 

‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা) খায়বার ইয়াহূদীদেরকে দিলেন এ শর্তে যে, তারা তাতে কাজ করবে এবং তাতে ফসল ফলাবে, তাতে যা উৎপন্ন হবে তার অর্ধেক তারা পাবে। (২২৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩৪)

অধ্যায়ঃ ৫৪/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫৪/৭.
 বর্গাচাষের শর্তাবলী।

হাদিস নং - ২৭২২. 

রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের মধ্যে আমরা অধিক শস্য ক্ষেত্রের মালিক ছিলাম। তাই আমরা জমি বর্গা দিতাম। কখনো এ অংশে ফসল হতো, আর ঐ অংশে ফসল হতো না। তখন আমাদের তা করতে নিষেধ করে দেয়া হলো। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে চাষ করতে দিতে নিষেধ করা হয়নি। (২২৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩৬)


অধ্যায়ঃ ৫৪/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) -হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫৪/১৪. 
বর্গাচাষের ক্ষেত্রে এমন শর্তারোপ করা যে, যখন ইচ্ছা আমি তোমাকে বের করে দিব।

হাদিস নং - ২৭৩০. 

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন খায়বারবাসীরা ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর হাত পা ভেঙ্গে দিল, তখন ‘উমার (রাঃ) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খায়বারের ইয়াহূদীদের সঙ্গে তাদের মাল সম্পত্তি সম্পর্কে চুক্তি করেছিলেন এবং বলেছিলেন, আল্লাহ্ তাআলা যতদিন তোমাদের রাখেন, ততদিন আমরাও তোমাদের রাখব। এই অবস্থায় ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর নিজ সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য খায়বার গমন করলে রাতে তাঁর উপর আক্রমণ করা হয় এবং তাঁর দু’টি হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। সেখানে ইয়াহূদীরা ব্যতীত আমাদের আর কোন শত্রু নেই। তারাই আমাদের দুশমন। তাদের উপর আমাদের সন্দেহ হয়। অতএব আমি তাদের নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘উমার (রাঃ) যখন এ ব্যাপারে তাঁর দৃঢ় মত প্রকাশ করলেন, তখন আবূ হুকায়ক গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কি আমাদেরকে খায়বার থেকে বের করে দিবেন? অথচ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে এখানে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিলেন। আর উক্ত সম্পত্তির ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে বর্গাচাষের ব্যবস্থা করেন এবং আমাদের এ শর্তে দেন।’ ‘উমার (রাঃ) বললেন, ‘তুমি কি মনে করেছ যে, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সে উক্তি ভুলে গিয়েছি, ‘তোমার কী অবস্থা হবে, যখন তোমাকে খায়বার থেকে বের করে দেয়া হবে এবং তোমার উটগুলো রাতের পর রাত তোমাকে নিয়ে ছুটবে।’ সে বলল, ‘এটাতো আবুল কাসিমের বিদ্রূপাত্মক উক্তি ছিল’। ‘উমার (রাঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর দুশমন! তুমি মিথ্যা বলছ।’ অতঃপর ‘উমার (রাঃ) তাদের নির্বাসিত করেন এবং তাদের ফল-ফসল, মালামাল, উট, লাগাম রজ্জু ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য দিয়ে দেন। রিওয়ায়াতটি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ (রহ.)..... ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৪৩)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)